মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে ৬১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিশ্বজুড়ে করোনায় এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৫ লাখ ৭০ হাজার ৮৬৬ জনে।

ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ২ লাখ ৭৪ হাজার ৫৯১ জন। এছাড়া একদিনে সুস্থ হয়েছে ৩ লাখ ২৯ হাজার ২৫২ জন। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬২ কোটি ৯৭ লাখ তিন হাজার ৯১৩ জনে। এছাড়া করোনা থেকে সেরে উঠেছেন ৬০ কোটি ৮৭ লাখ ৪৫ হাজার ৫২৯ জন।

রবিবার (১৬ অক্টোবর) সকালে আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যানবিষয়ক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে এসব তথ্য জানা যায়। গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে ফ্রান্সে। এসময়ে দেশটিতে শনাক্তর রোগীর সংখ্যা ৫৫ হাজার ৩৯৪ জন। এ নিয়ে শনাক্ত রোগী বেড়ে দাঁড়িয়েছে তিন কোটি ৬২ লাখ ১৬ হাজার ৬৩৪ জনে। তবে ২৪ ঘণ্টায় ফ্রান্সে করোনায় কারও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। ফলে মৃতের এক লাখ ৫৫ হাজার ৮১৬ জনই রয়েছে।

করোনায় একদিনে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে রাশিয়ায়। দেশটিতে ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ৯৮ জন এবং শনাক্ত হয়েছেন ১৩ হাজার ৮৮৪ জন। এনিয়ে রাশিয়ায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো তিন লাখ ৮৮ হাজার ৮০৭ জনে। আর শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে হলো দুই কোটি ১২ লাখ ৯২ হাজার ২০০ জন।

২৪ ঘণ্টায় তাইওয়ানে নতুন করে সংক্রমিত হয়েছে ৪৩ হাজার ৫১০ জন। একই সময়ে মারা গেছেন ৭৭ জন। এ নিয়ে দেশটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার ৮৪৩ এবং শনাক্ত ৭১ লাখ ৪২ হাজার ৪১৮ জন।

করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকার শীর্ষে থাকা যুক্তরাষ্ট্রে ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছে ৭০ জন। একই সময়ে শনাক্ত হয়েছেন ১০ হাজার ৮৯৭ জন। এ নিয়ে দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৯ কোটি ৮৮ লাখ ২৫ হাজার ৬৪১ জনে। তাদের মধ্যে মারা গেছেন ১০ লাখ ৯০ হাজার ৩৭৪ জন।

২৪ ঘণ্টায় ইতালিতে ৭৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। শনাক্ত হয়েছে আরো ৩৮ হাজার ৯৬৮ জন রোগী। এ নিয়ে দেশটিতে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো দুই কোটি ৩০ লাখ ৬৯ হাজার ৭৪৫ জনে।

জাপানে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছে ৬৭ জন। একই সময়ে শনাক্ত হয়েছেন ৩৫ হাজার ১৩৮ জন। এ নিয়ে জাপানে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে হলো দুই কোটি ১৭ লাখ ২৭ হাজার ৯৩৩ জন। তাদের মধ্যে মারা গেছে ৪৫ হাজার ৮২৩ জন।

ফিলিপাইনে ২৪ ঘণ্টায় ৩৮ জনের মৃত্যু ও ২ হাজার ৩৬৭ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে। দেশটিতে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩৯ লাখ ৮০ হাজার ৬২৯ জন এবং মারা গেছে ৬৩ হাজার ৪৭৭ জন। এছাড়া ২৪ ঘণ্টায় দক্ষিণ কোরিয়ায় ২৫ জন, মেক্সিকোতে ১৯ জন, ইন্দোনেশিয়ায় ২০ জন, পোল্যান্ডে ৩১ জন, চিলিতে ১৫ জন, ব্রাজিলে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। ২০২০ সালের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। একই বছরের ১১ মার্চ করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে সংস্থাটি।